• বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঘিওরে পৃথক দুই অভিযানে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২ হাজার মিটার পাইপ বিনষ্ট বাংলাদেশে আর কোন ফাসিবাদী শক্তি মাথা-তুলে দারাতে দেওয়া  হবে না – ডাঃ আবু বকর সিদ্দিক নতুনরূপে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম হলে এ প্রজন্ম মেনে নিবে না – ডাঃ আবু বকর সিদ্দিক ঘিওরের পয়লায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মাদরাসায় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে ঘিওরে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনে সরকারি যাকাত ফান্ডে অর্থ সংগ্রহের সেমিনার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের মতবিনিময় সভা ঘিওরে নানা আয়োজনে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবি আজ বন্ধ আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি

ফুলবাড়িয়ায় ঐতিহ্য বাহী হুম গুটি খেলার ২৬২ তম আসর পালিত

Reporter Name / ২৩১ Time View
Update : সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

মোঃ সাবিউদ্দিন: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় লক্ষ্মীপুরের বড়ই আটায় তালুক-পরগনার সীমানায় অনুষ্ঠিত একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। ব্রিটিশ আমলে জমিদারদের জমি পরিমাপের বিরোধের মীমাংসা করতে আয়োজন হেিয়ছল এই খেলার। পরবর্তীতে আমন ধান কাটা শেষ, বোরো ধান আবাদের আগে প্রজাদের শক্তি পরীক্ষার জন্য জমিদারদের এই পাতানো খেলা চলছে আড়াইশো বছরের অধিক সময় ধরে।

হুমগুটি হচ্ছে একটি পিতলের তৈরি ৪০ কেজির গোলাকার বল। এ বল নিয়ে মাঠে লাখো মানুষের কাড়াকাড়ি হয় এর দখল নিয়ে। সবার মুখে উচ্চারিত হয় “জিতই আবা দিয়া গুটি ধররে হেইও…।

সাধাররণত ফাল্গুনে আমন ধান ও তৎপরবর্তী রবিশস্য তোলার পর চৈত্রের শেষে অথবা প্রথমে ফসলবিহীন দিগন্ত বিস্তীর্ণ খোলা প্রান্তরে এ খেলা জমে উঠে। প্রধানত গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া কৃষাণ পরিবার সুস্থ্য, সবল, সাহসী যুবক থেকে শুরু করে প্রাক প্রবীণ বয়সীরাই এ খেলায় অংশগ্রহন করে। খেলায় থাকে একটি মাত্র অদ্ভুদ উপকরণ। বৃহদাকার পিতলের কলসির গলার নিচের গোলাকার যে অংশ ঠিক সে রকমের একটি অংশের

ভিতরে এমনভাবে মাটি ঠেসে ভরা হয় যে, মুখ বন্ধের পর তাতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েও মাটি বের করা যায় না। এটি দলগত খেলা।

২৫০ বছর আগে মুক্তাগাছার রাজা শশীকান্ত আচার্য্যের সঙ্গে ত্রিশালের বৈলরের জমিদার হেমচন্দ্র রায়ের জমির পরিমাপ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তখনকার দিনে তালুকের প্রতি কাঠা জমির পরিমাপ ছিল ১০ শতাংশে, পরগনার প্রতি কাঠা জমির পরিমাপ ছিল সাড়ে ৬ শতাংশে। একই জমিদারের জমিতে দুই নীতির কারণে প্রতিবাদী আন্দোলন শুরু হয়। এই বিরোধ মীমাংসা করার জন্য লক্ষীপুর গ্রামের বড়ই আটা নামক স্থানে ‘তালুক-পরগনার সীমানায়’ এই গুটি খেলার আয়োজন শুরু করা হয়। গুটি খেলার শর্ত ছিল গুটি গুমকারী এলাকাকে ‘তালুক’ এবং পরাজিত অংশের নাম হবে ‘পরগনা’। মুক্তাগাছা জমিদারের প্রজারা বিজয়ী হয় জমিদার আমলের সেই গুটি খেলা।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মোড়ল পরিবার বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে এই খেলার আয়োজন করে আসছে।

পৌষ মাসের শেষদিন কে এ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় পুহুরা। এই দিনেই যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই খেলা। বিকেল তিনটায় শুরু হয় এই খেলা। খেলা চলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত।


More News Of This Category
bdit.com.bd