• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঘিওরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ঘিওরে পৃথক দুটি অভিযানে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা ঘিওরে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অটোচালকের লাশ উদ্ধার মানিকগঞ্জের শিবালয়ে রোমান নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ঘিওরে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ঘিওরে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজেই আসছেনা এমপিওভুক্ত হচ্ছে দেড় হাজার এবতেদায়ী মাদ্রাসা, কত বেতন পাবেন শিক্ষকরা? ঘিওরে নেয়ামত শাহ্ পরিবহন ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ ঘিওরে পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা

দেশের অগ্রযাত্রায় ছাত্রলীগকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে

Reporter Name / ২৪৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মোঃ সাবিউদ্দিন: বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে, অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ছাত্রলীগকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য, এ বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করবো। কবির ভাষায়, ‘এই বিশ্বকে বাসযোগ্য করে যাবো আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।’ আমার কোনো ভয় নেই। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় কেউ যাতে নস্যাৎ করতে না পারে, তোমাদের (ছাত্রলীগ) অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি তোমাদের বলবো, শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি, ছাত্রলীগের মূলনীতি।

বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব। সঠিক নেতৃত্ব ছাড়া রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।’ আমি আশা করি, ছাত্রলীগের নেতারা নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলবে।

ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেখানে পড়ো সেটা পরিষ্কার রাখবা। নিজের বাড়িতে কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে। যাদের জমি অনাবাদি, তাদের উৎসাহিত করবে যেন ফসল করে। বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও কোভিডের ধকল বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। এ সময়ে প্রত্যেকে উৎপাদনে দৃষ্টি দিলে কারও কাছে হাত পাততে হবে না।

নিজ এলাকায় পেনশন স্কিম নিয়ে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের এগিয়ে আনা বাংলাদেশকে তার হত্যার মধ্যদিয়ে আবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এসে আবার সে যায়গা থেকে বাংলাদেশকে তুলে এনেছি। স্বাধীনতা যেন ব্যর্থ না হয়। স্বাধীনতা সুফল যাতে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়, সে ব্যবস্থা আমরা নিই।

বিএনপির আমলের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি এসে হাওয়া ভবন খুলে খাওয়া শুরু করেছিল। ওরা ভোট করতে আসে না। ভোট পায় না। ওরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস করে। মানুষের ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়। লুটেরা সন্ত্রাসে বিশ্বাসী, এরা মানুষের কল্যাণে বিশ্বাস করে না। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে আমাদের ২৪জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। ভোট তাদের কথা না। তারা বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়। বিএনপি এদেশের কল্যাণ চাইতে পারে না, চায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, নিজের বা আমার ছেলে-মেয়েদের না। তাদের একটাই দিয়েছি, শিক্ষা। লোন নিয়ে তারা পড়েছে। ধন-সম্পদ টাকাকড়ি কোনো কিছু কাজে লাগে না। করোনায় সবাই বুঝতে পেরেছে। আমি চাই, আমাদের ছেলে-মেয়েরা উপযুক্ত ও যোগ্য হয়ে গড়ে উঠবে। তারা অত্যন্ত মেধাবী। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। অপবাদ দেওয়া হয়েছে। একটি ব্যাংকের এমডি থাকার জন্য চাপ দিতো। একটা বড় দেশ এ নিয়ে চাপ দিয়েছে, তাকে এমডি পদে না রাখলে পদ্মা সেতুর ঋণ দেবে না। তখন বলেছিলাম, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করবো। আমরা সেটা করে বিশ্বকে দেখিয়েছি। বাংলাদেশ পারে, বাংলাদেশের মানুষ পারে। জাতির জনক বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ আমরা কিন্তু সেই জাতি।

শেখ হাসিনা বলেন, বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। লাভবান হচ্ছে দেশের মানুষ। মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। আজকে সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্ক। যেকোনো জেলা থেকে স্বল্পসময়ে অন্য জেলা বা রাজধানীতে আসতে পারে। আড়াই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছি। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি, সেখানে এক কোটি কর্মসংস্থান হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের বলবো, উদ্যোক্তা হতে হবে। অনেকে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করছেন। এরপরও কেউ এ উন্নয়ন দেখে না। তাদের চোখ অন্ধ। তাদের বলবো, ১০ টাকায় টিকিট কেটে যেন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিয়ে ডাক্তার দেখান। আসলে তাদের মনের ভেতর অন্ধকার। তারা হওয়া ভবন খুলে খেতে পারছে না বলে যত দুঃখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেক সংগঠন মানবাধিকারের কথা বলে। ৮১ সালে যখন আমি ফিরে এসেছি, তখন তো আমি মা-বাবা-ভাইবোন হত্যার বিচার চাইতে পারিনি। জিয়াউর রহমান খুনিদের ক্ষমতায় বসায়। প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি বাবার স্বপ্নপূরণ ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করে দেশে এসেছি। মাঠের পর মাঠ হেঁটেছি। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছি। দেখতে চেয়েছি, এদেশের মানুষের কী অবস্থা? আমার বাবা-মার রক্ত নিয়ে তারা দেশের কী করেছে?

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, শহীদের খাতায় নাম দেখতে চাইলে দেখবো- ছাত্রলীগই বুকের রক্ত দিয়ে সব সংগ্রামে ছিল। এমনকি ৭৫ এর পরে ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে। বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সক্রিয় ছিল, অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২০০৭ সালে আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন ছাত্রলীগই মাঠে নেমেছিল। এ ছাত্রলীগই হচ্ছে সেই শক্তি, যারা একদিন এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।করোনায়ও ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিপদের সময় আমার নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাস্তে হাতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। এজন্য তাদের প্রতি আমার অনেক বিশ্বাস এবং আস্থা।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। যদি তারা আদর্শ নিয়ে চলতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন এবং সিক্রেট ডকুমেন্টস বইগুলো পড়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এসব বই থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতারা অংশ নেন।

 


More News Of This Category
bdit.com.bd