সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নের ২৪ টি পূজা মন্ডপে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। গত বুধবার (০৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে রবিবার বিজয়া দশমী পূজা পর বিকালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মোট ০৫ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে সলঙ্গা উত্তর পাড়া শ্রী শ্রী জগ্ননাথ মন্দির ও কেন্দ্রীয় বারোবারী কালী মন্দিনসহ বেশ কয়েকটি মন্দিরগুলোতে দেখা গেছে বিজয়া দশমী পূজা উদযাপনের প্রধান আচার হিসেবে হিন্দু নারীরা সিঁদুর দেবী দুর্গার পায়ে রেখে দিয়ে দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
আবার হিন্দু নারীরা একে অপরের গালে সিঁদুর মাখিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
বিকালে প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য
সলঙ্গা জপঝপিয়া (গাঢ়দহ) নদীর পাড়ে দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো ভক্ত জড়ো হচ্ছেন। বিসর্জনের সময় অনেকে অশ্রুসিক্ত আবার অনেকেই মুহূর্তটি উদযাপন করতে নেচে-গেয়ে, আন্দন-উল্লাস করে কাটাচ্ছেন।
এব্যাপারে শ্রী মহাদেব হালদার ও শ্রী বিকাশ হালদারসহ অনেকে জানান, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ের কৈলাসে স্বামীর বাড়িতে। দেবীর অবস্থানকালে এই ০৫ দিন পৃথিবীতে ভক্তরা দেবীর বন্দনা করেন।
সলঙ্গা থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভবেশ চন্দ্র তালুকদার জানান,এবারে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর ছিল।তাই কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপুর্ণ ভাবে সলঙ্গায় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিসর্জনকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও সলঙ্গা বাজার কদমতলায় বসেছিল মেলা। মেলায় শিশুদের হরেক রকমের খেলনা,মাটির তৈরি পুতুল,হাড়ি পাতিল,ব্যাংক, তৈযসপত্র,ঝুড়ি-মুড়কি,খাজা,লাড্ডুসহ প্লাস্টিকের তৈরি রকমারি জিনিস।মেয়েদের প্রসাধনীর দোকানও বসেছিল অনেক।পূজার শেষে বিসর্জনের দিন এ মেলাতে প্রচুর বেচাকেনা হয় বলে জানিয়েছেন মেলা আয়োজক কমিটি।
মোঃ তুষার আহমেদ,
স্টাফ রির্পোটার,
দৈনিক মুক্ত খবর,
সিরাজগঞ্জ। মোবাঃ০১৭৯৫৩১৮২৩১.
## উপরে ছবিসহ দেওয়া আছে##
+880 1747-585656
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫