নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ:
প্রথমে মাকে বিয়ে পরে নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হমকি দিয়ে আদালতে গিয়ে এক আইনজীবির মাধ্যমে মেয়েকে বিয়ে করে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফকার হয়েছে এক যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মানিকগঞ্জে মা ও মেয়েকে বিয়ের পর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে জামাল শেখ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিল ডাউলি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জামাল শেখ রাজবাড়ী জেলার কালুখালি উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মালিরআট গ্রামের মৃত কবেদ আলী শেখের ছেলে।
এর আগে জামাল শেখের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করে ওই ভুক্তভোগী তরুণী।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে ওই মেয়ের মাকে বিয়ে করে জামাল শেখ। এরপর মা, ভাই, বোনকে নিয়ে জামাল শেখের সঙ্গে বসবাস করতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে জামাল শেখ মোবাইল ফোনে ওই তরুণী গোসল করার সময় গোপনে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। কিছুদিন পর অভিযুক্ত জামাল ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে তাকে বিয়ে না করলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হমকি দেয়। পরে আদালতে গিয়ে এক আইনজীবির মাধ্যমে ওই তরুণীকে বিবাহ করিতে বাধ্য করে জামাল। পরবর্তীতে জামাল শেখ ২০২২ সালে ওমান চলে যায়।
ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, জামাল শেখ ২০২৩ সালে দেশে ফিরে এসে তার সঙ্গে ঘর সংসার করতে থাকে। এ সময় সে তাদের স্বামী স্ত্রীর মেলামেশার অসংখ্য ভিডিও গোপনে ধারণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই তরুণী বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর গত বছরের ২১ এপ্রিল আইনজীবির মাধ্যমে জামাল শেখকে তালাক দেয়।
এরপর গত বছরের পহেলা মে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের পর জামাল শেখ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অন্তরঙ্গ মূহর্তের ছবি ও ভিডিও তার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। এরপর ওই তরুণী বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।