গণশক্তি ডেস্কঃ
মুন্সীগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পওয়া গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, “অষ্টম পর্বের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ট্রেইনিংয়ের ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নিতে কম্পিউটার বিভাগের কয়েকজন ছাত্র এসেছিল। তারা গত ৫ অগাস্টোর আগে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল।
তখন সাধারণ ছাত্ররা ওই পাচঁজন ছাত্রর ওপর হামলা করে। আমরা ওদের সেইফ করতে চেষ্টা করেছি; কিন্তু পারি নাই। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় “
তিনি বলেন, “পরে ল্যাবের দরজা ভেঙে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকী কয়েকজন ছিল পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং এসিল্যান্ড তাদের সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নিয়ে গেছে।”
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্জয় আহমেদ (২৪), আলামিন রক (১৯), কামরুল হাসান রবিন (২২), তনয় (২২), মেহেদি (২১), রিপন (২১), মোহিত (২১), রাকিবুল (২২) ও আলিফ (২১)।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী বলছে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন শ্রেণির সেমিস্টার পরীক্ষায় ছাত্রলীগ কর্মী কয়েকজন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিয়ে
এই সময় ছাত্রলীগ কর্মী দুর্জয় আহমেদ ও ছাত্রদল কর্মী আলামিন সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী।
আহত দুর্জয় আহমেদ বলেন, “আমি একসময় ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। তবে আমি কোনো পদে নেই। রোববার পরীক্ষায় অংশ নিতে এলে আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।”
আহত আলামিন রক বলেন, “বহিরাগত লোক নিয়ে এসে ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের এক সহপাঠীর ওপর হামলা করে। পরে আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে তাদের পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য কর্তপক্ষের কাছে দাবি জানায় একদল শিক্ষার্থী। পরে তাদের একটি রুমে আটকে রাখে। এরপর আটকে রাখাদের পক্ষে আরেক দল ছাত্র আসরে ধাওয় পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক শিক্ষার্থী আহত হন।
“পুলিশ আগে থেকেই সেখানে ছিল। পরে পুলিশের সহায়তায় সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেখানে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
তিনি বলেন, “একদল শিক্ষার্থী ৯ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”